খুঁটিপুজোর সাথেই শুরু হলো কলকাতার দুর্গাপূজা ২০২০
গত পাঁচ মাস ধরে অতিমারীর জেরে আমাদের জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে । শুধু মর্তের মানুষই নয় স্বর্গের দেবতারাও করোনা অসুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। রথের সময় এই করোনা অসুরের দাপটে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রাকে মাসির বাড়ি যাওয়া বাতিল করতে হয়।
আর সেদিন থেকেই সবার মনে একটাই প্রশ্ন – এবার কি লক্ষী সরস্বতী কার্তিক গণেশ পুজোর সময় মায়ের সাথে মামার বাড়িতে আসতে পারবে ?
কারণ মা দুর্গার আগমন মানে শুধু আপামর বাঙালির মনে আনন্দের জোয়ারই নয় – মা দুর্গার আগমন মানে বঙ্গের অর্থনীতিতেও জোয়ার – দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে বছরে আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে ।
তাই মা দূর্গা কৈলাস থেকে রুপোর রথে আসবেন নাকি ভক্তের কাঁধে চেপে আসবেন – সোনার শাড়ী পড়বেন নাকি তাঁতের শাড়ী পড়বেন – মা এর মূর্তি মাটির হবে নাকি সোনার হবে – এসব ছাপিয়ে এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন – এবার দুর্গাপূজা হবে তো?
আর এই প্রশ্নের উত্তরে আনন্দবার্তা দিলেন কলকাতার বিখ্যাত বারোয়ারি দুর্গোৎসব কমিটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। প্রতিবারের মতো এবারেও মায়ের আরাধনায় ব্রতী হতে চলেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।
করোনা আবহে সমস্তরকম সামাজিক বিধিনিষেধ মেনেই ১৬ই আগস্টের খুঁটি পুজোর মধ্যদিয়ে শুভারম্ভ হলো সন্তোষ মিত্রস্কোয়ার এর ২০২০র সার্বজনীন দুর্গোৎসবের। শুধু খুঁটি পুজোই নয় – এবছরে সবার প্রথমে কুমোরটুলির প্রখ্যাত শিল্পী শ্রী মিন্টু পালকে প্রতিমা তৈরির বরাতও দিয়েছে এই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ।
দুর্গাপূজোর জাকঁজমক এবার হয়তো কিছুটা কম হবে – কিন্তু দূর্গা পুজো হবেই। কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় এই পুজো কমিটির সদস্যরা তাদের দেবী আরাধনার সংকল্প অটুট রাখতে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বনের অঙ্গীকার করেছেন।
পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা শ্রী সজল ঘোষ জানালেন পুজোর দিনগুলোতে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে থাকবে স্যানিটাইজার , মাস্ক, গ্লাভস এর ব্যবস্থ্যা। সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিং মেনে চলার উপরে থাকবে বাড়তি নজরদারি।
মা দুর্গার কাছে শুধু একটাই প্রার্থনা এবার মহিষাসুরের সঙ্গে করোনা অসুরকেও বধ করে মর্তবাসীকে বরাভয় দাও মা